ঢাকা শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

স্বজনদের সন্ধানে ড্যানিশ নাগরিক মিন্টো পাবনায়     


গো নিউজ২৪ | নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৮, ০৮:৫৬ এএম
স্বজনদের সন্ধানে ড্যানিশ নাগরিক মিন্টো পাবনায়     

ঢাকা: বিত্ত বৈভব আর প্রাচুর্যের মধ্যেও আমি সব সময় কেমন যেন একটি শূন্যতা অনুভব করতাম।  ৪১ বছর এমন যন্ত্রণায় নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে  অনেকের সঙ্গেই দুর্ব্যবহার করছি। তেমন কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্র না থাকলেও প্রাণের টানে নিজ বাবা-মা ও স্বজনদের খোঁজে আমার পাবনায় আসা। কথাগুলো সম্প্রতি শেকড়ের সন্ধানে পাবনায় আসা এক ড্যানিশ দম্পতির।

মিন্টো কার্টসটেন সনিক (৪৭) মাত্র ছয় বছর বয়সে পাবনার বেড়া উপজেলার নগরবাড়ী ঘাট এলাকা থেকে হারিয়ে যায়। সেখান থেকে ঢাকার ঠাটারীবাজার এলাকার চৌধুরী কামরুল হুসাইন উদ্ধার করে রাজধানীর একটি শিশু সদনে আশ্রয় দেয় তাকে। পরে সেখান থেকে ডেনমার্কের এক নিঃসন্তান দম্পতি মিন্টুকে দত্তক নিয়ে যায়।

সেখানেই তার শৈশব-কৈশর কাটে, বিত্ত বৈভবের মাঝে লেখাপড়া শিখে বড় হয়। পেশায় একজন চিত্র শিল্পী। ডেনমার্ক নাগরিক এনিটি হোলমি হেব নামের এক চিকিৎসককে বিয়ে করে সংসার জীবন শুরু করেন। তাদের দাম্পত্য জীবনে এক ছেলে ও এক মেয়ে।

জীবনের শুরুতে তেমন সমস্যার সৃষ্টি না হলেও বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গেই সে সব সময় হীনমন্যতায় ভুগতেন। পরিবারের লোকজনের সঙ্গে খুবই দুর্ব্যবহার করতেন। মাঝে মধ্যেই মেজাজ খিটখিটে হয়ে যেত, কোনো কিছুই ভালো লাগত না। অবশেষে পরিবারের সিদ্ধান্তে ড্যানিশ স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে ছোট বেলার একটি ছবিকে অবলম্বন করেই ছুটে আসে পাবনায়। ওঠেন শহরের একটি আবাসিক হোটেলে।

১০ দিন ধরে পাবনা শহরসহ নগরবাড়ী এলাকায় চষে বেড়াচ্ছেন এই দম্পতি নিজ বাবা-মা কিংবা স্বজনদের খোঁজে। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস মিন্টু ১০ দিনেও খুঁজে পায়নি তার আত্মীয়স্বজনদের।

কিছুদিন আগে ফেসবুকের মাধ্যমে যোগাযোগ করেন পাবনার স্বাধীন বিশ্বাস নামের এক ব্যক্তির সাথে।  আত্মপরিচয় অনুসন্ধানে চলে আসেন বাংলাদেশে। তার ফেসবুক বন্ধু স্বাধীন বিশ্বাস বলেন, আমার সঙ্গে ফেসবুকে কথা হলে তাকে দেশে আসার অনুরোধ করলে সে দেশে আসে। আমরা চেষ্টা করছি তার স্বজনদের খুঁজে বের করার জন্য।

এ ব্যাপারে পাবনা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) শামিমা আকতার বলেন, বিষয়টি আমরা জেনেছি। পুলিশের পক্ষ থেকে যতটুকু সহযোগিতা করার করছি। ইতিমধ্যেই তিনি পাবনা সদর থানায় একটি এজাহারও করেছেন। তার উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে দেশের গণমাধ্যমগুলোর মিন্টুর পাশে দাঁড়ানো দরকার বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

গো নিউজ২৪/এমআর

সংবাদপত্রের পাতা থেকে বিভাগের আরো খবর
ব্যাংকে জমানো আমানত কমে যাচ্ছে

ব্যাংকে জমানো আমানত কমে যাচ্ছে

কারা হবে বিরোধী দল, লাঙ্গল না স্বতন্ত্র?

কারা হবে বিরোধী দল, লাঙ্গল না স্বতন্ত্র?

বিভিন্ন ছাড়ে ব্যাংক খাতের আসল চিত্র আড়ালের সুযোগ দিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

বিভিন্ন ছাড়ে ব্যাংক খাতের আসল চিত্র আড়ালের সুযোগ দিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

পাসপোর্ট এনআইডিসহ ১৯ কাজের অতি প্রয়োজনীয় জন্মসনদ এখন ‘সোনার হরিণ’

পাসপোর্ট এনআইডিসহ ১৯ কাজের অতি প্রয়োজনীয় জন্মসনদ এখন ‘সোনার হরিণ’

সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় যে ব্যাংক

সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় যে ব্যাংক

প্রশাসনের শীর্ষ পদে পদোন্নতিপ্রত্যাশীদের হতাশা বাড়ছে

প্রশাসনের শীর্ষ পদে পদোন্নতিপ্রত্যাশীদের হতাশা বাড়ছে